স্পোর্টস ডেস্ক: ব্যাটসম্যানদের রাজত্বের মধ্য দিয়েই শেষ হলো অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের বক্সিং-ডে টেস্ট। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের জোড়া সেঞ্চুরির সাথে ইংল্যান্ডের সাবেক দলপতি অ্যালিষ্টার কুকের ডাবল-সেঞ্চুরির দাপটে ড্র’তে শেষ অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্ট। কিন্তু বোলাররা কোনো সুযোগ না পাওয়ায় মেলবোর্নের পিচ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দুই অধিনায়ক অস্ট্রেলিয়ার স্মিথ ও ইংল্যান্ডের জো রুট।
২০ বছরের রেকর্ডে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বক্সিং-ডে টেস্ট ড্র হলো। এতেই ক্ষুব্ধ স্মিথ ও রুট। টেস্টের পুরো পাঁচদিন ২৪ উইকেটের পতন হয়। রান উঠে ১০৮১। পুরো টেস্টে দাপট দেখিয়েছে ব্যাটসম্যানরা। বোলাররা ছিল অসহায়। এ ফ্লাট পিচে খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। আশা করা হয়েছিলো দিন গড়ানোর সাথে পিচের চেহারায় পরিবর্তন আসবে। কিন্তু তাদের আশায় গুড়েবালি।
প্রথম দিন যেমনটা ছিলো, শেষদিনও তেমনই পিচের অবস্থা দেখেছেন স্মিথ ও রুট। তাই স্বাচ্ছেন্দ্যেই অধিনাকোচিত ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে জয় বঞ্চিত করেন স্মিথ।
দলের হার এড়ালেও পিচ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন স্মিথ, ‘পাঁচদিনেও পিচের কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমার মনে হয় আমরা যদি আগামী কয়েকদিনও এখানে খেলতে থাকি, তারপরও পিচে কোনো পরিবর্তন আসবে না। পেসাররা এই পিচ থেকে সুইং ও বৈচিত্র্যময় বোলিং-এ চেষ্টা করেছে। স্পিনাররাও চেষ্টা করেছে সুবিধা নিতে। কিন্তু কোন পরিকল্পনাই কাজে দেয়নি। এমন পিচে বোলারদের সাফল্য পাওয়া অনেক কঠিন। এমন পিচ টেস্ট খেলার জন্য মোটেও উপযোগী নয়।’
স্মিথের মত একই সুরে কথা বললেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুটও। তার মতে, ‘এটি বক্সিং-ডে টেস্ট খেলার জন্য নয়। এমন পিচে কোন ফলাফল আশা করা বা ফলাফলের জন্য লড়াই করা বোকামি। আমার মনে হয়, একজন খেলোয়াড় হিসেবে সামনে যা আসবে তাই করা উচিত। আমরাও তাই করেছি। কিন্তু আমাদের কাঙ্খিত সাফল্যের দেখা পায়নি। অবশ্যই ভালো পারফরমেন্সের পর আপনি ফলাফল দেখতে চাইবেন। কিন্তু আমরা তা করতে পারিনি। এজন্য পিচই দায়ী। আমরা আমাদের সামর্থ্যের সবটুকু উজার করে দিয়েছি। কিন্তু পিচ খেলার অনুপযোগী থাকলে ফলাফল পাওয়া কঠিন।’
স্মিথ-রুটের মত পিচ নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুকও। ইংলিশদের একমাত্র ইনিংসে ২৪৪ রান করে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া কুক বলেন, ‘আমার মনে হয়, গ্রাউন্ডসম্যানরা পিচের উপর রোলিং করতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। যদি ফ্লাট পিচ দেখে খেলা শুরু করা হয়, তবে তৃতীয়-চতুর্থ ও শেষ দিনে পিচ থেকে সুবিধার প্রত্যাশা করা যায়। কিন্তু এবার তার ছিটেফোটাও দেখা যায়নি।’
এই বছর ভারতের বিপক্ষে রাজকোটের পর টেস্ট ফরম্যাটে প্রথম ড্র’র স্বাদ নিলো ইংল্যান্ড।